Posts

সারাংশ লিখন 12 । WB PSC CLERKSHIP Main Exam

সৎ উদ্দেশ্যের ক্ষমতা (Power of Good Intention) জীবনে আমাদের সমস্ত কর্মের পেছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে এবং সেই উদ্দেশ্যটি যদি সৎ হয়, তবে কাজটি নিঃসন্দেহে ভালো ফল বয়ে আনে। কেবল বাহ্যিক সফলতা বা খ্যাতি অর্জন করাই যথেষ্ট নয়; কাজের পেছনে নৈতিক সমর্থন থাকা আবশ্যক। একটি মহৎ উদ্দেশ্য আমাদের সাহস ও শক্তি যোগায় এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হতে দেয় না। ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র সৎ উদ্দেশ্যের জোরে বড় বড় অসম্ভব কাজও সম্পন্ন করেছেন। যখন কোনো কাজ মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত হয়, তখন তা কেবল ব্যক্তিকেই সন্তুষ্টি দেয় না, বরং সমাজেরও কল্যাণ সাধন করে। এর বিপরীতে, অসৎ উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত কাজ সাময়িক লাভ দিলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয় এবং কুফল বয়ে আনে। তাই, একজন ব্যক্তির উচিত তার প্রতিটি কাজে নিজের উদ্দেশ্যকে সৎ রাখা। সৎ উদ্দেশ্যই কাজের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে। সৎ উদ্দেশ্যই প্রকৃত শক্তি আমাদের কাজের উদ্দেশ্য সৎ হলে তার ফল সবসময় ভালো হয়। কেবল বাহ্যিক সফলতা নয়, কাজের নৈতিক সমর্থন থাকা প্রয়োজন। মহৎ উদ্দেশ্য সাহস ও শক্তি যোগায়, যা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। ইতিহাসে সৎ উদ্দেশ্যের জোরে সাধারণ মানুষের অসম্ভব কাজ সম্পন্ন করার নজির আছে। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত কাজ সমাজে কল্যাণ সাধন করে। তাই, কাজের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের জন্য উদ্দেশ্যকে সৎ রাখা অপরিহার্য।

Post a Comment