Posts
পথের দাবী গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
1. পলিটিক্যাল সাসপেক্ট ব্যক্তিটি তার কী নাম বলেছিল?
উত্তর: রেঙ্গুন পুলিশের বড়ো কর্তা নিমাইবাবু নাম জিজ্ঞাসা করায় পলিটিক্যাল সাসপেক্ট তার বলেছিল গিরীশ মহাপাত্র।
2. পলিটিক্যাল সাসপেক্ট বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পলিটিক্যাল সাসপেক্ট বলতে বোঝায় রাজনৈতিক সন্দেহভাজন। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেই এখানে 'পলিটিক্যাল সাসপেক্ট' বলা হয়েছে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গল্পাংশে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে উক্ত অভিধা দেওয়া হয়েছে।
3. কাকে, কী সন্দেহে আটকে রখা হয়েছিল?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গল্পাংশ সব্যসাচী মল্লিককে পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সন্দেহবশত আটকে রাখা হয়েছিল।
4. "কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে।"- কোন্ প্রসঙ্গে কে এমন উক্তি করেছিলেন?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক বা বেশভূষার বাহার প্রসঙ্গে রেঙ্গুন পুলিশের বড়োবাবু নিমাইবাবু প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটি করেছিলেন।
5. সব্যসাচীর চোখের দৃষ্টি দেখে কী মনে হয়েছিল?
উত্তর: ছদ্মবেশী রাজদ্রোহী সব্যসাচী রং-বেরঙের পোশাক নিজের ব্যক্তিত্বকে ঢেকে রাখতে পারলেও, নিজের বুদ্ধিদীপ্ত চোখ দুটিকে লুকোতে পারেনি। তার জলাশয়ের মতো গভীর চোখ দুটি দেখে মনে হচ্ছিল যে, এর সঙ্গে খেলা অর্থাৎ কপটতা না করে, সসম্ভ্রমে সরে দাঁড়ানোই মঙ্গল। এই দৃষ্টির গভীরে যে ক্ষীণ প্রাণশক্তি লুকোনো আছে মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়।
6. "সে যে বর্মায় এসেছে এখবর সত্য।"-'সে' বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: 'সে' বলতে এখানে ভারতের রাজবিদ্রোহী বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।
7. ভামো নগরের উদ্দেশ্যে কে কাদের সঙ্গে রওনা হল?
উত্তর: অপূর্ব ভামো নগরের উদ্দেশ্যে বিকেলবেলার ট্রেনে আরদালি এবং অফিসের একজন হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণ পেয়াদার সঙ্গে রওনা হল।
৪. "তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।"-উক্তিটির বস্তা কে? উত্তর: প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটির বস্তা হলেন বর্মার একজন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মহাশয়ের।
9. "এই সেই গিরীশ মহাপাত্র"- 'এই সেই' বলার অন্তর্নিহিত কারণ কী?
উত্তর: 'পথের দাবী' পাঠ্যাংশে আমরা দেখি অপূর্বর সঙ্গে গিরীশ মহাপাত্রের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল পুলিশ স্টেশনে। দ্বিতীয়বার অপূর্ব তাকে দেখে রেলওয়ে স্টেশনে। গিরীশের বেশভূষা সম্পর্কে রামদাসকে যে বর্ণনা অপূর্ব দিয়েছিল। রামদাস তার ফলে এক নিমিশেই গিরীশকে চিনে ফেলে। সে কারণেই রামদাস প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করে।
10. "তিনি ঢের বেশি আমার আপনার" কোন প্রসঙ্গে এমন উক্তিটি করা হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নোদৃত উক্তিটি যাঁর সম্বন্ধে করা হয়েছে তিনি হলেন ভারতীয় বিপ্লবী সব্যসাচী
মল্লিকা। ইংরেজের পুলিশ নিমাইবাবু অপূর্বর যত বড়ো আত্মীয়ই হোন না কেন, দেশের জন্য আত্মনিবেদনকারী সব্যসাচী মল্লিক, অপূর্বর কাছে বেশি আপনজন মনে হয়েছে।
11. গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি লোহার কম্পাস, একটি কাঠের ফুটবুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই ও একটি গাঁজা সেবনের কলকে।
12. "তার লাঞ্ছনা এই কালো চমড়ার নীচে কম জ্বলে না।" বক্তা কোন 'লাঞ্ছনা'র কথা বলেছিল?
উত্তর: ফিরিঙ্গিদের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানাতে গেলে স্টেশনমাস্টার দেশি লোক বলে অপূর্বকে স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে দিয়েছিল-এই লাঞ্ছনার কথাই বস্তা অর্থাৎ অপূর্ব বলেছিল।
13. কোন ঘটনা পরাধীন ভারতবর্ষে প্রায় নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল?
উত্তর: পরাধীন ভারতবর্ষে দেশের জনসাধারণকে বিদেশি সাহেবদের অপমান লাঞ্ছনা অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল।
14. "বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন।" বড়োবাবুর হাসির কারণ কী?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত পোশাক এবং আচরণ দেখে এবং মাথায় মাখা লেবুর তেলের গন্ধে থানার সকলের মাথা ধরে যায়, সে কারণে জগদীশবাবু তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে বড়োবাবু হাসতে লাগলেন।
15. তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা কেন রেঙ্গুনে চলে এসেছিল?
উত্তর: বর্মা অয়েল কোম্পানিতে তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করত। সেখানকার জলহাওয়া তাদের পক্ষে সহনশীল ছিল না। তাই তারা চাকুরির উদ্দেশ্যে রেঙ্গুনে চলে এসেছিল।