1. "পরম সুখ কাকে বলে জনেন?"- 'পরম সুখ' বলতে বস্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: 'বহুরূপী' গল্পে বক্তা বিরাগী স্বয়ং সব সুখেড বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়াকেই 'পরম সুখ' বলতে চেয়েছেন।
2. হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী?
উত্তর: হরিদা পেশায় ছিল বহুরুপী। সে কখনো পাগল সাজত, কখনো বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনো পুলিশ আবার কখনো বা বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা। এটাই হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।
3. বিরাগীর কাছে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধটি কী ছিল এবং তা শুনে বিরাগী কী বলেছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন বসবাস করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই কথা শুনে বিরাগী বলেছিলেন ধরিত্রী তার আসল আশ্রয়স্থল।
দালানবাড়িতে তিনি থাকতে পারবেন না।
4. হরিদার ঘরটি কীরকম ছিল এবং সেখানে কী হত?
উত্তর: সরু এক গলির মধ্যে হরিদার একটি ছোটো ঘর ছিল। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। চা, চিনি, দুধ তাঁরাই আনতেন। হরিদা শুধু আগুনের
আঁচে জল ফুটিয়ে দিত।
5. "সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস"।- 'দুর্লভ' জিনিসটি কী?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত 'বহুরুপী' গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে আগন্তুক সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাওয়ার বিষয়কে দুর্লভ জিনিস বলা হয়েছে প্রশ্নোদ্ভূত অংশটিতে। কেন-না জগদীশবাবু ব্যতীত আগন্তুক সন্ন্যাসী আর কাউকে পায়ের ধুলো নিতে দেননি।
6. লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচুদরের এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন এবং তিনি সেখানে সাতদিন ধরে অবস্থান করেছিলেন। এই খবরটাই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন।
7. "মাঝে মাঝে সত্যিই উপোস করেন হরিদা।"-হরিদা মাঝে মাঝে উপোস করেন কেন?
উত্তর: হরিদার জীবনের একমাত্র পেশা বহুরূপী সেজে রোজগার করা। যৎসামান্য রোজগারে এক সপ্তাহের ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণ করা সম্ভব হয় না। তাই হরিদাকে মাঝে মাঝেই সত্যিই উপোস করে দিন অতিবাহিত করতে হয়।
৪. "কী অদ্ভুত কথা বলেন হরিদা।" হরিদার কোন কথাকে অদ্ভুত মনে হয়েছিল?
উত্তর: হরিদা জানিয়েছিলেন যে, শত হোক একজন বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে টাকা-ফাকা করলে তাঁর ঢং নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর এই কথাকে গল্প লেখকের অদ্ভুত মনে হয়েছিল।
9. "নইলে আমি শান্তি পাব না" কী পেলে বক্তা শান্তি পাবেন?
উত্তর: বক্তা জগদীশবাবুর একান্ত ইচ্ছা যে বিরাগী তাঁকে কিছু উপদেশ দিয়ে প্রস্থান করলে তিনি শান্তি পাবেন।
10. "এই শহরের জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বহুরূপী হরিদা।"- 'বহুরূপী' গল্পে হরিদার বহুরূপী সাজার কয়েকটি উল্লেখ করো।
উত্তর: কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত 'বহুরূপী' গল্পে হরিদার বহুরূপী সাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল-উন্মাদ পাগল, রূপসি বাইজি, বাউল, কাপালিক,
পুলিশ, বুড়ো কাবুলিওয়ালা, ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব, সন্ন্যাসী বিরাগী প্রভৃতি।
11. "জটাজুটধারী কোনো সন্ন্যাসী নয়"। উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সন্ন্যাসী না বলার কারণ কী?
উত্তর: আগন্তুককে সন্ন্যাসী না বলার কারণ হল, তাঁর হাতে সন্ন্যাসীদের ব্যবহৃত কমন্ডুলু ও চিমটে ছিল না। তাঁর সঙ্গে বসার জন্যে মৃগচর্মের আসনও ছিল না। তিনি গৈরিক সাজেও সজ্জিত ছিলেন না, তাছাড়া জটাজুটের পরিবর্তে তাঁর মাথায় ছিল
স্বাভাবিক শুভ্র চুল।
12. "জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল"-কী দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: জগদীশবাবু সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখেছিলেন আদুড় গায়ে সাদা উত্তরীয় পরে এক বিরাগী সামনে দাঁড়িয়ে তখন তিনি অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।
13. "অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।"-হরিদার কোন ভুল অদৃষ্ট কখনো ক্ষমা করবে না?
উত্তর: শিল্প মর্যাদার স্বার্থে বহুরূপী হরিদা জগদীশবাবুর দিতে চাওয়া অর্থ প্রত্যাখান করে
ভুল করেছিলেন বলে লেখক মনে করেছেন। সেই ভুলই অদৃষ্ট কখনো ক্ষমা করবে না বলে লেখকের মনে হয়েছিল।
14. "পরম সুখ কাকে বলে জানেন?"- বক্তা স্বয়ং 'পরম সুখ' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত 'বহুরূপী' গল্পে বক্তা বিরাগী স্বয়ং সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়াকেই 'পরম সুখ' বলে বোঝাতে চেয়েছেন।
15. "বাঃ এ তো বেশ মজার ব্যাপার!"-কোন ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে?
উত্তর: একদিকে জগদীশবাবুর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণকারী আগন্তুক সন্ন্যাসী হিমালয়বাসী সর্বত্যাগী। অন্যদিকে কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগানো দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি পা বাড়িয়ে দিলেন জগদীশবাবুর দিকে-এমন পরস্পর বিরোধী ঘটনাকে উদ্ধৃতাংশের বস্তা হরিদা একে মজার ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছেন।