Posts
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. শব্দের ত্রিবিধ অলংকার কী কী?
উত্তর: শব্দের ত্রিবিধ অলংকার হল-অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা।
2. "এতে রচনা উৎকট হয়"। কী কারণে রচনা উৎকট হয়?
উত্তর: অনেক লেখক তাঁদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। এতে রচনা উৎকট হয়।
3. লক্ষণা কী? একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: শব্দের অভিধানগত অর্থের অতিরিক্ত যে অর্থ প্রকাশ পায় সেটা হল লক্ষণা। যেমন-"এই রিকশা, এদিকে এসো"-এখানে রিকশা নয় রিকশাওয়ালাই লক্ষণার্থে ফুটে উঠেছে।
4. ব্যঞ্জনা কী? একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে বৃত্তির বলে শব্দ নতুন অর্থের দ্যোতনা তৈরি করে তাকে বলে ব্যঞ্জনা। যেমন-'অরণ্যে রোদন'-ব্যঞ্জনার্থে নিষ্ফল খেদ।
5. অভিধা কী? একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: শব্দের মুখ্য অর্থ বা বাচ্যার্থ প্রকাশিত হয় যে বৃত্তির বলে, তার নাম অভিধা। যেমন-পাঁকে জন্মে যা তা 'পঙ্কজ' হলেও শব্দটির অভিধা 'পদ্ম' অর্থেই সীমাবন্ধ।
6. বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় বাধা কোথায়?
উত্তর: বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার প্রধান বাধা হল বাংলা পারিভাষিক শব্দের অপ্রাচুর্য।
7. কোন্ উক্তিকে লেখক কাব্যের উপযুক্ত, ভূগোলের উপযুক্ত নয় বলেছেন?
উত্তর: "হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড"-কালিদাসের এই উক্তি কাব্যের উপযুক্ত,
ভূগোলের উপযুক্ত নয়।
৪. "তারা এ বিষয়ে অবহিত না হলে তাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।" এরূপ বলার কারণ কী?
উত্তর: আমাদের দেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সামান্য। প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গেও তাদের যোগ নেই-এই কথাটা বুঝতে হবে।
9. কোন প্রসঙ্গে লেখক 'মাছিমারা নকল' কথাটি বলেছেন?
উত্তর: When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in the reaction-এর বাংলা "যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না"-এ রকম অনুবাদকে লেখক 'মাছিমারা নকল' বলেছেন।
10. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: পরিভাষার উদ্দেশ্য হল ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।